Labels

'' রোদ-জ্বলা দুপুরে,সুর তোলে নূপুরে তুমি যবে বাস থেকে নাবতে, একটা কিশোর ছেলে একা কেনো দাড়িয়ে সে কথা কি কোনোদিনও ভাবতে? ''... এ গান শুনার দিন শেষ হলো ! কেনো শেষ হলো ...জানত ( ''ভালো থাকুক প্রথম প্রেম'' ) গল্পটি পড়ুন : A R Mridul

Tuesday, February 5, 2019

তোমারেই পড়ে মনে " সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত " ...

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির যে তিনজন ব্যক্তি চুড়ান্ত সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি তাদের একজন তিনি। সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী। একজন অভিজ্ঞ আইন প্রণেতা।

যতদিন জীবিত ছিলেন সবসময় বক্তব্যের কারনে আলোচনার শীর্ষে ছিলেন। রাজনৈতিক সমস্যা, সংকট নিরসনে তার অবদান অনস্বীকার্য।

দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদসহ মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এমন কী মুক্তিযুদ্ধের আগে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে তুমুল জোয়ারের সময়েও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি থেকে মাত্র ২৫ বছর বয়সে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ছাত্র জীবন থেকেই বামপন্থী রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু। হাওরাঞ্চলের জাল যার জলা তার আন্দোলনে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় বড় ভূমিকা রেখেছেন সবসময়ই।

Thursday, January 24, 2019

ভালো থাকুক প্রথম প্রেম


Jaan Nisaar Hain,Jaan Nissar..
মনে আছে তোমার-আমার 1st দেখা হওয়ার দিনটি ?
মনে আছে আমার গাওয়া সে গানটা?
প্রেম কি তা তো তুমিই আমাকে শিখিয়েছিলে,তবে কেনো ভূলে আছো আমার সে প্রথম প্রেম?
নাকি এখনও ক্ষনিকের জন্যও মনে পড়ে কলেজের রাস্তায় আমার পিছু লাগা ।হয়ত ভূলে গেছোো সেই বিষাদগ্রস্থ অতীত। আমি কেনো ভূলতে পারিনি?
 প্রতিদিনের মতো রাস্তায় দাড়িয়েছিলাম টিফিন আর বইভর্তি ব্যাগ কাধে নিয়ে। তুমি বলেছিলে তুমিই প্রথম আমায় দেখেছিলে ।আমি তখন গতির ৩য় সমীকরণ নিয়ে ব্যস্ত। বান্ধবীর কাছ থেকে যখন জানলে আমি আমার স্কুলের সবচেয়ে ভালো ছাত্র তখন হঠাত্ই তোমার মুখে আমার নাম শুনি ।আমার সরণ,ত্বরণ ও গতিকালের সম্পর্কটা তখন আর মেলানো হয়নি। রুটিনমাফিক জীবন ভালোবাসতাম। কিন্তু সেদিন থেকে রুটিনের বদল হয়েছিলো। প্রথমবারের মতো কোনো মেয়ের দিকে গভীরভাবে তাকিয়েছিলাম কিছুসময়।তারপর তুমি চলে গেলে বাসে করে। আমার আর যাওয়া হয়নি সেদিন স্কুলে। বাসায় এসে মিথ্যে বললাম। তখনও কানে সুর তুলছিলো তোমার নূপুরের ধ্বনি। স্কুল ফাকি দিয়েছিলাম টানা কদিন। খবরটা রাস্ট্র হয়ে গেলো। মা শুধু জিজ্ঞেস করেছিলেন কোনো সমস্যা নাকি,বিশ্বাস ছিলো আমার প্রতি তাই আর কিছু বলেননি।
'রোদ-জ্বলা দুপুরে,সুর তোলে নূপুরে
তুমি যবে বাস থেকে নাবতে,
একটা কিশোর ছেলে একা কেনো দাড়িয়ে
সে কথা কি কোনোদিনও ভাবতে?
vidmate থেকে গানটা ডাউনলোড করে ফোন শাটডাউন না হওয়া পর্যন্ত একটানা শুনতাম। কিন্তু এ গান শুনার দিন শেষ হলো। মেয়েদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদাভাবে সৃষ্টি করা এক বৈশিষ্টের কারণে কিছুটা কৌতুহূলী হলে। তুমি আর তোমার বান্ধবী যখন কথা বলা শুরু করলে আমি আর কিছু বলতে পারিনি। শুধু চেয়ে দেখেছি তোমার কপালে হঠাত্ এসে পড়া চুল আর কানের দুলগুলো। ৬ মাস এভাবেই কেটেছে। কখনোবা রাস্তায় দাড়িয়ে কখনোবা তোমার বাসার সামনে বৃষ্টিতে ভিজে।
SSC পরীক্ষার পর কলেজে ভর্তি হই। অরিয়েন্টেশন ক্লাসে আবার তোমার দেখা পাই। পাশাপাশি বামে থাকা ১ বেঞ্চ সামনে বসে আছো তুমি। সিনিওর ভাইদের আমায় দেওয়া রজনীগন্ধার সব ফুলই তোমার মাথায় আর হাতে ছুড়ে মেরেছি। তুমি কিছুটা বিরক্ত হলে। অনেক ফ্রেন্ডই স্কুল থেকে জানতো আমি তোমার প্রেমে পড়েছি। কলেজে এক ফ্রেন্ড অনেকটা জোর করেই তোমার বান্ধবীর সাথে কথা বলে তোমার সাথে আমার দেখা করায়। অনেক কিছু শিখিয়ে বলেছিলো ভালো করে কথা বলতে। এর আগেও তোমার কথা বলতে পারিনি। তাই সেদিন কিছু চিন্তা না করেই I LOVE YOU বলে দিই। তুমি আবার চলে গেলে কিছু না বলে। আমার ফ্রেন্ডটা রেগে fire হয়ে গিয়েছিলো। কলেজের প্রতিটা ক্লাসে তোমার পাশের বেঞ্চে বসে তাকিয়ে থাকতাম তোমার দিকে। স্যারেরা তোমার মতোই ব্যাপারটা আচ করে রাগ করলো। ভালো ছাত্র জানতো কিন্তু এটাও জেনে গিয়েছিলো কলেজের পরীক্ষায় ফেল করবো। পরীক্ষায় আমি 1st হলাম,তুমি খারাপ রেজাল্ট করে প্রায় কেদেই ফেললে। কলেজে আসোনি কদিন। সব মেয়েদের মতো তুমিও ক্যারিয়ারের প্রতি যত্নবান ছিলে। কথা বলতে চেয়েছিলাম help করবো বলে,তুমি অন্য কিছু ভাবলে।
পরের পরীক্ষায় attend করিনি,রুমের বাইরে দাড়িয়ে জান্লার ফাক দিয়ে তোমায় দেখতাম। পরীক্ষার পর আমি ফেল করি আর তুমি 1st । সবই বুঝতে পারলে। এখন তুমি কথা বলতে চাইলেও আমি বলিনি। Test পরীক্ষার আগের দিন তুমি কিছু বলতে চাইলে,কিছু বলোনি পূজোর নিমন্ত্রণ দিয়েছিলে। গিয়েছিলামও।
 আকাশের দিকে তাকিয়েছিলাম ধোয়াশাভরা দিগন্তের দিকে। তুমি আসলে একলা এক কক্ষে। ফ্রেন্ড হওয়ার কথা বললে। এতটাই খারাপ লাগলো যে আমার সমস্ত আমিত্ব ভেঙ্গে তোমায় propose করলাম। বাঁ হাতটা দিয়ে রক্ত ঝরছে আর ডান হাতে রক্ত দিয়ে তোমার লিখা একটুকরো কাগজ দেখে তুমি অজ্ঞান হলে।
শপথ করেছিলাম আর তোমায় ডিস্ট্রাব করবো না।
বিদায়ী অনুষ্টানে তুমি আমার পথরোধ করলে। ডায়েরীর ১টা ভাঁজ করা পাতা দিয়ে হুট করে চলে গেলে। সত্যিই আমি আর চলতে পারলাম না। আবার সেখান থেকেই নতুন করে পথ চলা শুরু। বাসায় এসে পাতায় লেখা নাম্বারে কল করলাম। মেসেজ এলো। __আসতে হবে। পরেরদিন আসলাম,একটা লম্বা কাগজ দিলে। সারারাত জেগে পড়লাম। সত্যিই কাগজের লেখাগুলো ঠিক?
তুমি কি সেদিন থেকে ভালোবাসতে শুরু করেছিলে,যেদিন আমি তোমার জন্য সবার সামনে প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে ক্ষমা চেয়ে কান ধরেছিলাম। পরদিন মাকে এনে কলেজে আসতে হয়েছিলো। তাহলে কি সেদিন,যেদিন তুমি তেলে নিমজ্জিত আমার ভদ্রমাথা দেখে বলেছিলে একটু স্মার্ট হতে পারোনা?
 ভাবতে পারিনি তুমি এতোটা ভালোবাসবে। ভাবতে পারিনি মেয়েরা ভালোবাসতে পারে। আমার পারিবারিক অবস্থা কেমন করে জেনে নিলে। একসাথে ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম। বিদেশ গিয়ে তোমার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে দিলে। ভালোই কাটছিলো দিনগুলো।
ভার্সিটির শেষদিকে তুমি আমার থেকে দূরে সরে যেতে লাগলে। মনে হতো তুমি আর আগের মতো আমায় ভালোবাসো না। যেখানে আমি তোমার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল,আমায় স্বাবলম্বী হতে বললে। জানতে পারলাম একটা ছেলে তোমায় পছন্দ করে। তুমিও হয়তো।
...সোমবার দেখা হওয়ার কথা ছিলো,তুমি আসলে না। ফোন বন্ধ ছিলো। বাসায়ও পাইনি। ১৮ দিন পর জানলাম তোমরা সপরিবারে ঢাকায় চলে গেছো। সেখানে সেই ছেলেটাকে বিয়েও করেছো। ভূল ভাঙ্গলো,তোমার-আমার রাস্তা তো এক হওয়ার কথা না।
৩ মাস পর হঠাত্ তোমার বান্ধবী তোমার ডায়েরীটা আমায় দিয়েছিলো সাথে একট হাতঘড়িও। না ডায়েরীটা দিতে বলোনি,ওটা তুমি ভূলে বাড়িতে ফেলে গিয়েছিলে।
সত্যিই আমাকে ভালোবাসতে অনেক। হার্ট অ্যাটাক আর মাইনর স্ট্রোক করা বাবার জন্য তুমি বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলে। বলোনি,বলতে চাওনি। ডায়েরীর ধূলোজমা পাতায় লিখা ছিলো সে না বলা কথা।
 তোমার মতোই একজন চেয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে আর তোমাকেই পেয়েছিলাম।তবে কেনো পেয়ে হারাবার ব্যাথা দিলে?
জানি দোষটা তোমার না। তুমি তো আমার ভাগ্যেই ছিলেনা।
জানিস,সেদিন থেকে কতো খুঁজেছি তোকে। প্রত্যেক বইমেলায়,বিকেলে প্রত্যেকটা নদীর পাড়ে,আমার সমস্ত অস্তিত্ত্বে। কিন্তু পাইনি।
 তুই হারিয়ে গিয়েছিস অজানায়,হারিয়ে যাওয়া সময়ের মতো। কত রাত জেগেছি তোর কথা ভেবে। কলেজের গাওয়া গানটা হিট হয়নি ইউটিউবে। সেটা তো তোর প্রিয় ছিলো। শুনেছিস কখনো এ গানটা? আজ আমি ছোটোখাটো কবি তোর পরিচিত সেই গল্পে। কখনো কি খুঁজে পেয়েছিস আমায় সেই গল্পের মাঝে?
হুম,আমি আজ উচ্চবিত্ত হতে পেরেছি। তোর বাবার মতো ব্যাবসা শুরু করেছি ক-বছর আগেই চাকরির সুবাদে। সবই পেয়েছি। পাইনি শুধু তোকে।
 বাঙ্গলার পরিচিত ধূলোময় রাস্তায় একফোঁটা নুনাজল পড়লো। সামান্য ধূলিকণা ভিজেছে সে জলে অস্ফূট চোখে দেখলাম আবার তুমি চলে যাচ্ছো।
সেই প্রথম দিনের মতোই,আমিও দাড়িয়ে আছি রা্স্তায় সেদিনের মতোই,শুধু কাধের সে ব্যাগ নেই।
 রাস্তার সে মোড় নয়।
ভালোবাসা ঠিকই আছে,সে আগের মতোই।
তুইও আর তোর খোপার গাদা ফুলও।
 শুধু তোর-আমার ঠিকানা পাল্টে গেছে।
সময় বদলে গেছে।
 ভালোলাগা তোর কপালের সেই চুলটা পেকে গেছে।
তবুও ভালোবাসি,তুমি কি ভালোবাসোনা?
চলে গেলে,আবার আমি হাঁটছি_কাছে আসা কেনো হলো না ...?

  ## Like My Page [ ARM ]   

Wednesday, December 19, 2018

নিরভিমান নিরবতা


১.
অভি ক্লাসের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রদের মধ্যে একজন ছিলো । আজ সে ফেল করেছে । নিরব নিরালায় বসে আছে । তারিখটা ১৪ । ঠিক কয়েক মিটার দূরে দাঁড়িয়ে গল্পে মেতে আছে পুষ্পা । আশার তুলনায় ভালো রেজাল্ট করেছে । একটু আগেই পুষ্পার ফোনে মেসেজ এসেছে তপুর,, ওই মফস্বল শহরতলির রাতের চেনা ছেলে সে । মেসেজ পড়ে খুশিই ছিলো পুষ্পা । কাল যেন কোথায় যেতে হবে।১৬ তারিখে পুষ্পাকে আর আগের মতো খুঁজে পায়নি অভি । ঘোমটা পরা ঘরের বউ ছিলো সে । অভি তখনো H.S.C. তে ফেল করা ছাত্র, ফেল করার মাত্র ২ দিন হলো ।
...........
২.
আজ ঠিক ১৪ তারিখ  তবে পুষ্পাকে ভুলতে চেষ্টা করা অভির H.S.C. পাশ হয়ে ভার্সিটির ক্যাম্পাস ঘুরে এখন চাকরি আর ব্যাবসার ক্যাম্পাসে । ৪-৫ বছর চলে গেছে।। আজও সময়ের ফাঁকেফাঁকে অভির দুঃসময়েরা উকি দেয় । অভি তবুও ভুলে থাকে মনকে আড়াল করে । আজ তার ব্যাবসা প্রতিষ্টানে প্রথম কোনো বড় অনুষ্টান করা হচ্ছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্টান হওয়ার সুবাদে ।
সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ দেশের গনমান্য ব্যাক্তি উপস্থিত থাকবেন । ফুল হাতে নিয়ে আনমনে দেখছে সে । কলেজের প্রথম ক্লাসটার কথা ভীষণ মনে পড়ছে । সেদিনও তার হাতে কয়টা ফুল ছিলো । তবে চেয়ারে নয় সে বসে ছিলো মাঝসারিতে থাকা একটি বেঞ্চে । পুষ্পা কে প্রথম খুব কাছ থেকে দেখেছিলো সেদিন । কয়েকটা ফুলও ওর মাথায় ঢিল মেরে ছুড়ে ছিলো। ও চায়নি একবারও,, সেদিন আর পিছুলাগা ছ-মাস । একাই শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছিলো অভি । ফেসবুক বা ক্লাস, অভির কথা বা চাহনি, শুধু-শুধু হারিয়ে গেছে ।  একবারও চোখ তুলে তাকায়নি, বুঝে নি অভিকে,, এমনকি মানুষ হিসেবেও।। 
৩.
এসব ভেবে ভেবেই অনুষ্টান শুরু হয়ে গেছে কবেই, অভির খেয়াল হয়নি সে দিকে।
চোখ টা একবার তুলে সামনে তাকায় সে, অতীত আর বর্তমান ঘুলিয়ে যায় তার...
 একটা মেয়ে তাকিয়ে আছে অভির দিকে..। ওর প্রাইভেট সহকারীর কাছ থেকে জানতে পারে মেয়েটা তার প্রতিষ্টানের কর্মচারী । বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই । তবে স্বামী আর কাছে নেই এখন । বিয়ের কয়েক মাস পরই ছাড়াছাড়ি হয়েছে , স্বামী অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছে,, এভাবে আরও কয়েকটা । তার কিছুদিন পরই স্বামী মারা যায় তবে সে তখন তার স্বামী ছিলনা,, I.S. এর জেহাদী । 
পালিয়ে বিয়ে করেছিলো,আজ সে একা একটা টিনশেডের বাসায় থাকে । প্রতিবেশীর কাছ থেকে শুনা যায় ওর মাথায়ও কিছু সমস্যা আছে । অনেক কষ্টে অভির প্রতিষ্টানে চাকরি পেয়েছে । নেহাত অভি ভালোমানুষ বলে ।এই কথাগুলো অভিকে বলছিলো ওর প্রাইভেট সহকারী ।
অনুষ্টান শেষে কিছু কর্মচারীর সাথে মেয়েটা অভি আর প্রধান অতিথিকে ফুলের মালা পরায়। মেয়েটার চোখে এক অদ্ভুত চাহনি ছিলো,, তাকিয়ে ছিলো অভির দিকে সারাক্ষণ । অভি প্রথম কোনো মেয়ের বিষয়ে এতটা খেয়াল করল ।
৪. 
কিন্তু কাল আর অভিকে দেখা যায় নি অফিসে শুনা গেছে সে আমেরিকা চলে গেছে সেদিনই।।
অফিসের কেউ যেন বলেছে সে অভিকে একটা ডায়েরী পড়তে দেখেছে, যেটি ওই মেয়েটার ব্যাগ থেকে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলো । কিছু ছেড়া পাতাও পেয়েছে লোকটা । কোনো রকমে জোড়া দিয়ে একটার অর্থ পাওয়া যায় । লেখা ছিলো  : " অতীত কি ফেরানো যায় না ? অভির চাহনি কি ফেরানো যাবে না ? " তারিখটা ছিড়ে গেছে একটা নাম আছে আরেক ছেঁড়া পাতায়, পুষ্পা । 
হ্যা এই মেয়েটাই অভির অতীতের কিছু কাটাকুটি আর অসমাপ্তিজ্ঞাপক পুষ্পা । আর ওর স্বামী সেই তপু। এককালে যার সাথে সারারাত চ্যাটিং করে রাত কাটতো পুষ্পার ।
বিয়ের পর আজ একেলা সে । অভিকে এখন বুঝে সে, আড়াল থেকে তাকিয়ে দেখতো অভি অনেক বদলে গেছে তবুও কিছু রয়ে গেছে অতীতে ।
অভি নেই তবুও অতীত রয়ে গেছে পুষ্পার কাছে । শত বারণেও যে তাকিয়ে থাকতো তার দিকে  ।
অতীত তবুও ফেরানো যায় না,,,,
কাটাছেড়া এই জীবনে সে আবার ফিরে যেতে চায় সেই কলেজ জীবনে । কিন্তু অভি আর যেতে চায় না তার অতীতে,সেখানে তো শুধুই ভুল আর ভুল,, যেখানে সে সে পায়নি এতটুকুও সুখ  ।
আর এজন্যই সে চলে যায় অজান্তেই সবার ভবিষ্যৎএ । সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় সে ...
৫.
সমাপ্তি কি এখানেই..? জানালার কাছে বসে ভাবছে পুষ্পা । বৃষ্টির ফোটা এসে পড়ছে টেবিলে । তার সাথে একফোঁটা নুনা জল ।
টেবিলের ধুলো সব হারিয়ে যাচ্ছে জলের ফোটায় । জলে ভেজানো চোখ থেকে টুপ করে নিঃশব্দেই কি যেন পড়ে  । তারই ঝাপশা কাচের মতো পর্দায় সে অনেক কিছু দেখে....
পূজোর দিনে নামাজ পড়ার সময় চোখে পড়েছিলো অভির দিকে, সবে মাত্র মন্ডপ থেকে ঘুরে এসে এইরকম এক বৃষ্টির দিনে ওর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে ছিলো বাড়ির দিকে ।
বৃষ্টিতে অভির কপালের ওই আবির গুলো রঙ্গিন হয়ে সারা শরীর মেখে গিয়েছিলো ... আজকের মতো সেদিনও জানালার ফাক দিয়ে দৃশ্যটা দেখছিলো । অভি পাগলটাকে কেমন যেনো ভালো লাগতো ওর পাগলামিতে । তাতে কি ?
গরীবকে তো করুণা - দয়া করা যায় ভালোবাসা যায় না,, আর আরেকদিকে ও ছিলো তার চাচার মতে কাফের । তার বাবা-চাচাও আর এ জমিনে নেই বেহেস্তে চলে গেছেন অনেক আগেই । আর পুষ্পা এখন দিন গুনছে বেহেস্তে যাওয়ার,, কথিত সেই স্বর্গ বা বেহেস্তে নয় যেখানে সে নতুন করে পাবে অতীত আর অভিকে, যেখানে থাকবেনা কোনো কাটকুটি ...। 

  ## Like My Page [ ARM ]   

Thursday, December 13, 2018

নকলা-বাজী

খবরের খবর :

১. সময় সব ঠিক করে দিতে পারে, শুধু মানুষের চেহারা ছাড়া 😆
২.বুড়ো হওয়া হচ্ছে''কি ভুলে যাচ্ছি ভেবে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানো 😉